কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন? কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত এসব বিষয়ে নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অন্য দেশ যেতে চান। যেসব দেশের টাকার রেট বেশি, সেসব দেশে গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান অনেকেই। তো চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগবে জেনে নেয়া যাক।
যেকোনো দেশে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ভিসা আবেদন করার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। তো চলুন, কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে এবং ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে জেনে নেয়া যাক।
কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে একটি ওয়ার্ক পারমিট আবশ্যক। তাই, আপনি যে কাজে দক্ষ বা যে কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী, সেই কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য, বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
অতঃপর, আপনি যে কাজে আবেদন করতে চান, সেটিতে আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। অথবা, আপনি চাইলে বেসরকারি কোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে, ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে ভিসা নিতে চাইলে অর্থ খরচ করতে হবে।
মনে করুন, আপনি একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে ফেলেছেন। তো চলুন, এখন আমরা এই ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করবো। তো, ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে এটি জানতে হবে। নিচে এসব বিষয় উল্লেখ করে দিয়েছি।
কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চাইলে অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন করতে হবে। ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই লাগবে। তাই, ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করে সঙ্গে রাখুন।
ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে যেকোনো ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, কোনো দালালের সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, আপনি চাইলে নিজেই সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। ভিসা আবেদন করতে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য, নিউ দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড এম্বাসির ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভিসা আবেদন করতে পারেন। ভিসা আবেদন করার সময় উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো লাগবে।
ভিসা আবেদন করে একটি অ্যাপয়েনমেন্ট বুক করতে হবে। অতঃপর, ভিসা আবেদনটি প্রিন্ট করে সেটি সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে যেতে হবে। অতঃপর, বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে ভিস আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি সেখানে জমা দিতে হবে। তাহলে, তারা আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি করে দিবেন।
এরপর, আপনি উক্ত ভিসা দিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। তবে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়াও আরও অনেক ভিসায় যেতে পারবেন। যেমন – স্টুডেন্ট ভিসা, ট্রাভেল ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি। এসব ভিসা আবেদন করেও ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন।
ফিনল্যান্ড যেতে আপনি কয়েকটি পদ্ধতিতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, ভিসার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। তাই, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা নির্দিষ্ট নয়। ভিসার ধরণ এবং ভিসা আবেদন করার ধরণ অনুযায়ী ফিনল্যান্ড যেতে কম বা বেশি টাকা লেগে থাকে।
আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই যেতে পারবেন। তবে, কোনো ভিসা এজেন্সির সহজগিতা নিলে ৫-৬ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে। কিন্তু, কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে ৭-৮ লক্ষ টাকা অব্দি লাগতে পারে।
এছাড়াও, স্টুডেন্ট ভিসায় ফিনল্যান্ড যেতে কম খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড এর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চান, তবে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন। এজন্য, অ্যাডমিশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে উক্ত কলেজ থেকে। অতঃপর, ভিসা আবেদন করে ২-৩ লক্ষ টাকার মাঝেই ফিনল্যান্ড চলে যেতে পারবেন।
তবে, আরও কম খরচে ১-২ লক্ষ টাকার মাঝে ট্রাভেল ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়া সম্ভব। ট্রাভেল ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। অন্যান্য ভিসা আবেদন করার পর ভিসা হাতে পেতে অনেক সময় লাগে। ট্রাভেল ভিসায় কম খরচে ফিনল্যান্ড ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন।
ফিনল্যান্ড যেতে ইচ্ছুক অনেকেই ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত জানতে চান। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে চান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে, তবে সেখানে অল্প টাকা উপার্জন করেই বাংলাদেশের অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কারণ, ফিনল্যান্ড এর টাকার রেট বাংলাদেশের টাকার থেকে অনেক বেশি। ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের ১১৯.৭৭ টাকা। এছাড়াও, ফিনল্যান্ড টাকার রেট কম বা বেশি হয়ে থাকে। তবে, ফিনল্যান্ড ইউরো সমান বাংলাদেশের ১১৯ টাকা থেকে ১২০ টাকা বা এর বেশি থাকে। আপনি যদি ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন, তবে সেখানের থেকে বাংলাদেশে ১০০ গুনের বেশি টাকা পাবেন।
তাই, অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করতে চাইলে ফিনল্যান্ড যেতে পারেন। ফিনল্যান্ড গিয়ে ১ ইউরো উপার্জন করলে সেটার রেট বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি।
ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। ফিনিশ ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ২ মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়।
ফিনল্যান্ড ট্রাভেল ভিসায় গেলে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়। তবে, আপনি যদি ফিনল্যান্ডে ৯০ দিনের থেকে বেশি সময় যাবত থাকতে চান, তবে ফিনল্যান্ড আবাসিক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবাসিক পারমিট পেলে সেখানে ৯০ দিনের থেকেও বেশি সময় থাকতে পারবেন।
ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের আজকের টাকার রেট অনুযায়ী ১১৯ টাকার বেশি। তবে, টাকার রেট প্রতিদিন কম বেশি হয়ে থাকে।
ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো।
আরও পড়ুন: বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
আরও পড়ুন: লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং লিবিয়া যাওয়ার উপায়
আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় ও খরচ
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসায় যাওয়ার নিয়ম, ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড টাকার রেট কত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ফিনল্যান্ড যেতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এতে করে, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন করা অব্দি কী কী করতে হবে জানতে পারবেন। এমন আরও পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
Leave a Reply